Sunday, 2 December 2012
Saturday, 17 November 2012
SUICIDE সুইসাইড
সুইসাইড
এমন
পৃথিবীর সঙ্গে কেউ আড়ি করে?
এত
ফুল, গান, হাতের ছোঁয়া?
ওই
কুন্দ-শুভ্র দন্তপংক্তি, ওই রক্তিম অধরিমা?
সব
ঠেলে ফেলে দিয়ে নিষ্প্রাণ শুয়ে আছো
শেষ
শয্যায়
ভালোই
করেছো, ভুলে গিয়ে ভালোই করেছো
ভুল
করে করেছো ঠিক।
এ
খেলা জীবন নিয়ে খেলছ কি মন নিয়ে
জবাব
চাইব না ।
শুধু
একটি প্রশ্ন লিখে রেখে যাই
জীবনই
তার জবাব দিক।
HULO KORTA হুলোকতা‾
হুলোকতা‾
একদিন বাড়ীর রাস্তা
দিয়ে হাঁটছি, , সঙ্গে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড পুচকু ... সামনে দিয়ে একটি
পরিচিত হাঁড়ি মুখো হুলো যাচ্ছিল ... পুচকু বলল ‘ কি নিশ্চিন্তে যাচ্ছে দেখো ... কোন ভাবনা চিন্তা নেই ...... ’ আমি একটু এগিয়ে গেলাম নিছক কৌতূহলের তাগিদে ...
আর সামনে থেকে একটা বিড়বিড় – বিড়বিড়
আওয়াজ শুনে থমকে গেলাম । হুলোটা স্বগতোক্তি করছে ...
‘উফ কি ভাগ্য করেই একটা বৌ পেয়েছিলাম ...... বাড়ি
ঢুকলেই ঝগড়া .. ক্যাওম্যাও... আমার কি আর চুরি করার ক্ষমতা আছে ? ছেলেটাও হয়েছে
তেমনি... যেন বেরালতপিস্যি । আমাকেই রাতদিন চুরির ধান্দায় ঘুরতে হয় ... দুটো নাতি
নাতনি ... ওগুলোও চুরি করতে শেখেনি... আর বৌমা একটা অপদার্থ ... নাতিটা রাতদিন
ফ্যা ফ্যা করে ঘুরছে... কিছু বলেও না তাকে... আর নাতনিটা রাতদিন আয়নার সামনে কি যে বসে থাকে
আর কি সব মাখে, আর একগাদা বন্ধু জুটিয়ে কোথায়
যে যায়ে ষষ্টিঠাকরুন জানেন ... সেদিন আবার কার বাগানে পিকনিক করে এলো । আমার জন্যে
অবিশ্যি একটুকরো মাছ এনেছিল , তাই নিয়ে গিন্নির সঙ্গে ধুন্দুমার কাণ্ড ... ওর
জন্যে কেন আনেনি ... আসলে নাতনিটা আমার খুব ন্যাওটা কিনা ...
‘ যাকগে , এই
বুড়ো হাড়ে আর ঝগড়া করার খ্যামতা নেই ... দুটো খেতে পেলেই হল ... তারো কি যো আছে
বৌয়ের জ্বালায় ? সেদিন হালদার দের দুধের ডেকচিতে মুখ দিয়ে কি বিপত্তি ... রান্নার
ঠাকুর আমার ল্যাজ পুড়িয়ে দিলো । আমার ল্যাজের বাহার নিজমুখে বলতে লজ্জা করে......
সেই ল্যাজে আগুন দেওয়া ? নাতনি অবিশ্যি কি সব মলম টলম লাগিয়ে দিল ... আর বৌ
অগ্নিমূর্তি ...একবেলা খেতেই দিলনা । ’
আমি পুচকু কে
বললাম তবে যে বললে বেড়ালদের কোন চিন্তাভাবনা নেই ? আমাকে পুচকু এক ঠেলা মেরে বলল
ধ্যাত দুপুর বেলা বেঞ্চিতে বসে কি আজেবাজে বিড়বিড় করছ ? ঘুমতে হয় তো বাড়ি চল ।
অগত্যা বাড়ি ঢুকলাম ... কিন্তু পুচকু জানেনা আমি মোটেই স্বপ্ন দেখছিলাম না ।
ভুল ঠিকানা BHUL THIKANA
ভুল
ঠিকানা
এ কোন
পৃথিবীতে এলে তুমি ?
এ তো তোমার জন্য নয় ?
কেউ
ভুল ঠিকানায় পাঠায় নাকি
এমন
সাধের রঙিন চিঠি?
তা’ ---------- এবার কি শুনবে বল তো
জল
ছাড়া মাছের জীবন চরিত?
জীবন
ভরে উল্টো দাবার চাল ----
ভুলে – ভরা গানের মালা ?
যাই
হোক , ------ এসেছ যখন ,
বরণ করি
আদরে তোমায় ।
কয়েকটা
দিন গাছের ছায়ায় বসে
যা
খুশি তাই করো -------
কেবল
যাবার
সময়
একটু
মনে করে
আমাকেও
সঙ্গে নিয়ে যেও ।
Monday, 11 June 2012
CHOSMA
চশমা
এক যে
আছে ভুতু, তাহার একটি জোড়া চশমা
ভুতু
তাকে চাপিয়ে নাকে
আরাম
করে ঘুমিয়ে থাকে –
জাগলে
ভুতু চশমা জোড়া হারায় প্রতি লহমা ।
চশমা-জোড়া
বেজায় পাজি , থাকে না তো নাকে
কখনো সে
খাটের তলায়
বইয়ের
ফাঁকে লুকিয়ে পালায়,
কভু
দেরাজ – আলমারিতে , ক্যাবিনেটের তাকে ।
গিন্নি
ভুতুর কাণ্ড দেখে আছে বেজায় চটে ---
কিন্তু
তাতে ভুতুর কি দোষ ?
করো যতই
হাজারো রোষ ---
চশমাটা
যে বেজায় পাজি বোঝেই না সে মোটে !!
“এই তো
ছিল --- কোথায় গেলো?” --- ভুতুর বাঁধা বুলি ---
চুলকে
মাথা হাঁদার মতো
খাচ্ছে
ভুতু থতমতো
গিন্নি
রেগে উঠছে তত, ছুটছে কথার গুলি ।
সারাটা
দিন হাঁচোড় - পাঁচোড় , মাথার টাকে নখের আঁচড় ---
খুঁজছে
ভুতু, ভীষণ নাছোড়, রান্নাঘরে নো - মিল ----
উলটে
দেরাজ, বইয়ের পাঁজা, “না পেলে আজ দেখবে মজা”
গিন্নি
চেঁচায়, পুড়ছে ভাজা, চশমা তবু অমিল !
রাত্রি
গেল, সকাল হল --- ভুতুর চরণ টলোমলো ---
গিন্নি
কেঁদে মুখ ফোলালো, --- বাইরে কলিং বেল !
দরজা
খোলে গিন্নি ছুটে --- চশমা হাতে দাঁড়িয়ে মুটে
হাস্যমুখে
ব্যালেন্স করে আধশোয়া সাইকেল ।
“কালকে
বাবু দোকান থেকে জিনিসপাতি কিনে
চশমা
ফেলে এলেন বাড়ি , ভরা দুপুর- দিনে –
ঝুড়ির
মধ্যে আগাগোড়া
পড়েই ছিল
চশমা- জোড়া ---
কেমন
করে এলেন বাবু এ-পথটুকু চিনে?”
Monday, 28 May 2012
Subscribe to:
Posts (Atom)