Subscribe in a reader GAN KOBITA NATOK: March 2016

Tuesday 22 March 2016

সদ্যোস্নাত SODYOSNAATO

সদ্যোস্নাত 


ঝরনার নীচে খেলছিল রামধনু সাত রঙ
তনু ওড়নার আচ্ছাদনে লুকনো ময়ূরকন্ঠী পাখা-----
কেউ  কি সেদিন এসেছিল  ?
প্রেমস্নাত ?

কারো চোখ তবু দেখেনি,
 শোনেনি ্পায়ের শব্দ কেউ...।
একটি ময়ুর-পাখা সব উত্তর লিখে নিয়ে
পড়ে ছিল ঝরনার সানুদেশে।

সে চলে যাবার পরে
আমি সেদিন সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে
একা ফিরেছি  সদ্যোস্নাত----
আর কোনোদিন সেই  ঝরনাতলে
যাইনি তার খোঁজে..... 

জানিনা কোনও  ময়ূরকন্ঠী পাখা
আজও পড়ে আছে কি না
সেই ঝরনার সানুদেশে.....

জানিনা, আজও কেউ আসে কি না 
একা,  সদ্যোস্নাত----
রামধনু রঙে সেজে ...।।

Sunday 20 March 2016

জল,তুমি JAWL, TUMI

জল,তুমি




আমি এবার জল এঁকেছি প্রেমে
ভালবাসার অথই জলে নেমে
চোখের পানি মাপতে গিয়ে
ভুলে ছিলাম, প্রেম কি মাপা যায়? 

তাই নামলাম গলা জলের স্রোতে
সাঁতরে এবার মনপবনের নাও
 মাঝি, তোমার   নৌকার হাল ধরে 
ভালোবাসার পারে লইয়া যাও । 

ডুবজলেতে যখন গহীন রাতে 
শুক্তি হয়ে ঘুমিয়ে আছো তুমি   
তোমার বুকের মুক্তো হয়ে প্রেম 
রাঙিয়ে দিল আমার তটভুমি।

Saturday 12 March 2016

ঠিকানা THIKANA

ঠিকানা


তোমার ঠিকানা যখন আমার কাছে ছিল 
তখন একদিনও আমার তোমার কাছে 
    যেতে ইচ্ছা হয়নি। 
তারপর একদিন যখন তোমার কথা ভীষণ মনে পড়ছে 
তখন হঠাৎ জানলা দিয়ে ঠিকানাটা হাওয়ায় উড়ে গেল। 
    এবার আমি কি করবো ? ভাবছি বসে বসে। 
পথে পথে খুঁজতে বেরোলাম হারিয়ে যাওয়া ঠিকানা 
   


'ওগো তোমরা কি সেই হারিয়ে যাওয়া ঠিকানা জানো?' 

গাছ, পাখি, ফুল, নদী সবাই বলল 'জানিনা' 
এগিয়ে চললাম না জানা পথ ধরে। 
দিনের পর দিন, ক্রোশের পর ক্রোশ 
চলেছি তো চলেছিই--- 
পথের আর শেষ মেলেনা। 




শেষকালে অনেক দূরে দেখলাম একটি আলো। 

সে আলোর শেষে একটী ছোট্ট বাড়ি 
আর সেই বাড়ীর লাগোয়া...একী! 
এই তো সেই তোমার অনেক চেনা জানালা 
যার সামনে দিয়ে আমি সারাজীবন গেছি আর এসেছি! 
ঐ তো তুমি জানালায় বসে মিষ্টি হেসে 
অপেক্ষা করছ আমার জন্যে 
যেমন করেছ তুমি চিরকাল!!

পারাবতী PARABOTI

পারাবতী

ও পারাবতী, উড়োনা অমন ডানার ঝাপট দিয়ে, 

আমার মনের স্বপন-ডাঙা যাবে ওলট-পালট 
আকাশ মাথায় নিয়ে তুমি বাদল ডেকে এনো 
ভিজব আমি, সাজব আমি জড়িয়ে গায়ে নীল আকাশ 
তোমার মতন ওড়বার সাধ   
       থাকলেও তা 
                হবে না আর, জেনো। 


তোমার সাদা পালকগুলির একটি আমায় দিয়ো 
           মনের রঙে ছুপিয়ে আমি 
                        লিখব চিঠি তাকে----- 
সেই যে চির-দূরের দেশে 
          পালঙ্কেতে নিদ্রা গেছে 

জাগবে কি সে আমার চিঠির ডাকে? 

চিঠির ডাকে যদি আসে আমার ভাঙা ঘরে 
আমি আমার চোখের জলে চরণ ধুয়ে তার 
মুছিয়ে দেব নীল ওড়না দিয়ে 

ততদিনের স্বপন আমার মনের মাঝেই থাক্ 
বাদল-মেঘের রঙ সাজিয়ে নিয়ে।।

অন্য বাড়ি ONNYO BARI

অন্য বাড়ি


কাল আমরা একটা অন্য বাড়িতে চলে যাবো। 

এবাড়ির আরশোলা-টিকটিকি-ইঁদুর-ছারপোকা, 
             এমনকি 
জানলায়-বসা কাক-চড়ুই-শালিকগুলোকে ছেড়ে। 
রান্নাঘরের উঁচু তাকে ডিমে-তা-দেওয়া পায়রাগুলো 
কাল থেকে আর দানাপানি পাবেনা। 

এখানে মেঘ-বৃষ্টি-জলে হাত পিছলে সাবান গলে যায়, 
কাপড়-টাঙানো আংটাগুলো ঘাড় বেঁকিয়ে, 
                  অবাধ্য গরুর মতো, 
মেঝের মোজেক গর্ত হয়ে কেঁচোর সঙ্গে দোস্তি করে 
          বাড়িটার আয়ু কমায়। 

অন্য বাড়িটার ঝকঝকে পালিশ-করা মেঝে, 
জানলা খুলেই গাছের সবুজ, ফুলের রঙ, পাখির 
                                                 কিচিমিচি, 
রান্নাঘরে বাসন অঢেল, প্রচুর আরাম-আয়েশ, 
সদর-দুয়ার খুলেই ঢালাও অতিথিশালা, 
রাতের বেলা চাঁদ নেমে আসে ছাদে। 

কিন্তু যদি আসল কথাটা বলি ......? 

স্বপ্ন ভেঙে চোখ মেললেই বাড়িটা হারিয়ে যায়, 
তাই কাল আর কখনোই আসেনা   ... 
Tomorrow never comes ,….. 
Tomorrow never comes.

ছেঁড়া চটি CHHNERA CHOTI

ছেঁড়া চটি

আমি তোমার বহু-ব্যবহৃত ছেঁড়া চটি। 
আজ আঠাশ বছর ধরে তুমি আমায় 
তোমার পায়ের তলায় ঘষটেছো 
ছিঁড়ে গেছি,ক্ষয়ে গেছি, 
শেষ হয়ে গেছি দুমড়ে ------- 

আজ তাই তোমার পদাশ্রয়ে 
আমার মেয়াদ শেষ। 

এবার হয়ত তুমি আমায় 
ছুঁড়ে ফেলে দেবে আস্তাকুঁড়ে, 
তারপর ভুলে যাবে আমায় 
তাতে কোনো ক্ষতি নেই আমার। 

তারপর বাজার থেকে কেনা হবে 
বহুমূল্য চকচকে নতুন চটি 
দীর্ঘদিন ধরে তার চমক অটুট রাখার 
নিরলস প্রচেষ্টা চলবে, 
    যতক্ষণ না একদিন 


তারও আমারই মত হাল হয়, 
এবং সেও আমারই মতন ঠাঁই পায় 

কোনো এক আস্তাকুঁড়ে ।

Friday 11 March 2016

প্রেমাগুন PREMAGUN

প্রেমাগুন

           পোড়া সিগারেট নেভালেও নেভেনা----- 

আহা, যদি আগুন লাগে তো লাগুক! 
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার, কি তৃতীয়বার 
আমি কি তাতেও পুড়বো ? 
আমি তো আগেই প্রেমাগুনে পোড়া ! 

তাই ছাইদানিতে ধোঁয়ায় - ধোঁয়া, চায়ের কাপে তুফান, ---- 
আদতে বাসা তো হোগলা কিম্বা গালা, 
তাতে আবার বেতের সোফা, তৈরি জতুগৃহ, 
ঘর পুড়ে যাক্, পুড়তেই থাক্, 
আমি ম’লে পোড়াস্ নে তোরা। 

আগুন ধরল সীঁথিতে সেদিন, কুশণ্ডিকার ভোরে, 
ফুলশয্যার খাটে, 
যেদিন আফোটা কুঁড়িকে বিসর্জন দিলাম, 
সেদিন মন কি পুড়ল  প্রথমবার? 

এখন জতুগৃহ বাদানুবাদে লেলিহান, 
প্রেমাগুন- শিখাগ্রাসে বছর - বছর  
তবুও মরিনি তুমি- আমি। 
এবার কি পুড়বো? জানিনা তোমার কথা। 
আমি তো আগেই প্রেমাগুনে পোড়া।

সত্যি কথা SOTTI KAWTHA

সত্যি কথা

তুমি আমায় ভুলে গেলে আমি কেঁদে মরেই যাবো--- 


কে বলেছে এটা তোমায়? 

ভোরের আলোয় তোমার শরীর চকচকে নতুন-কেনা থালার মতো ---- 
এটাই বা তোমায় বলেছে কে? 
তোমার শিশির আমার বাগানে সুগন্ধী , রঙীন ফুল ফোটায় 
ভুলেও তুমি ভেবো না তা। 
সকাল-বিকেল আয়না দেখে সাজি আমি তোমার তরে--- 
এটাও তোমার ভুল ধারণা। 
আসল কথাটা যে কী আমিও তো ছাই জানিনা তা 
তুমিও নিজে জান কি না সন্দেহ ঢের আছে তাতে---- 
তুমি আমার,আমি তোমার,এসব নিছক কাব্যকথা 
জীবনের এই সত্যটুকু রয়েই গেল অজানাতে

জীবন-বাজি JEEBON-BAAJI

জীবন-বাজি

থাক্ না ওরা ওদের মতো, 
নদী-ঝিলমিল্, সমুদ্র-নীল, 
সিন্ধুসারস, শঙ্খচীলের ভিড়ে --- 
আমার জন্য থাক্ এ-পথের 
নুড়ি-পাথর, রথের চাকার 
বৃংহতি-ডাক, ভোরের আকাশ চিরে। 

যাচ্ছি একা কাজের ঠেলায় 
নিঠুর রোদের সকাল-বেলায় 
বস্তা-কাঁধে, কঠিন জীবন বেয়ে ------ 
যন্ত্র-দানব, দন্তী-শ্বাপদ 
বিকট-গতি, সঙ্গে চলে ধেয়ে। 

দিচ্ছি না তো ভাগ্যকে দোষ 
এটাই জীবন, এ-ও সন্তোষ, 
খেলার ছলে জীবন-বাজি ধরে, 

ফিরব কখন কেউ জানেনা 
বাসায় আবার, নেই ঠিকানা 
থামব কোথায়, কোন্ অজানার ঘরে।।

মোতি MOTI

মোতি


গলার মুক্তাহার ছিঁড়ে, 

মুক্তাগুলি ছড়িয়ে পড়ল 

সারাটা পথ জুড়ে। 

সবাই ছুটে এলো, কুড়িয়ে নিয়ে গেলো--- 
তা দিয়ে কেউ বানালো দুল, কেউ বানালো আংটি, 
আর সবাই তাদের গয়না 
মুক্তা গেঁথে সাজিয়ে নিলো। 

শুধু একটি মেয়ে সবার শেষে 
যা পেলো তাই কুড়িয়ে নিয়ে 
ঘরে গিয়ে গাঁথলো জপের মালা। 

সেই মালাতে একেকটি মোতি 
জপত সে রোজ কারো অপেক্ষায়। 

যারা গয়নাগাঁটি পরে উৎসবে গা ভাসায় 
তারা জানবে কেমন করে 
আরেকটি মেয়ে নির্জন তার ঘরে   
দিবারাত্রি জপে চলেছে কারো নাম 
ঐ মালাটির একেকটি মোতি গুণে।

ভাণ্ডার BHANDAR

ভাণ্ডার


মায়ের ঘরে একটা সিন্দুক ছিল 

তার ভিতর কী ছিল আজো জানিনা। 

মনে  ছিল মায়ের মুখে শোনা 

হাজার হাজার রূপকথা। 

আমি সেই রূপকথার হিরেমানিক 

লুকিয়ে রেখেছিলাম আমার একলা বুকে---- 
আরেক সিন্দুকে। 

কোনোদিনও খুলিনি সেই সুখের ঘর---- 
রূপ বাসা বেঁধেছে যেখানে। 

আয়নাতে একজোড়া চোখের ইসারা 
খুঁজে ফেরে কোথায় ফেলে গেছে চাবি । 
লুকোনো কোণগুলো প্রদীপ জ্বালিয়ে খুঁজি --- 
খুঁজেই চলেছি আজো -----

আজও পেলাম না তার সন্ধান । 

যন্ত্র JONTRO

যন্ত্র


'চ্যাং-মাছে বলে, মাঝিভাই, আমাকে না মারিও' 
খলসে-পুঁটি কথা কয়না, 
দিনে-দিনে ঝাঁকের কই 
ঐ নদীতে আর বয়না ------ 
মাছ বাড়ন্ত জলে, ঘর বাড়ন্ত চালে, 


'লক্ষ্ণী যখন আসবে' 

তখন পদ্মও আর ফুটবেনা 
শাপলা-শালুক, পানার ফুল 
রঙ মুছে আজ বিধবা-সাজ,---- 



ওগো মানুষ, জীবন বাঁচাও 

যন্ত্র নিয়ে আর খেলোনা! 


শিশু বাঁচুক,বন্য বাঁচুক 

পৃথিবী হোক মাতৃক্রোড় 
সাহারা হোক সবুজ আবার, 
নদীরা হোক মৌ-পারাবার 
পান্থপাদপ তৃষ্ণা মেটাক 
শ্রান্ত মরু-পথিকদের! 



ওগো মানুষ, ওগো মানব 

হৃদয়টাকে পাষাণ-গলাও 
নতুন করে নীড় বেঁধে দাও 
আনন্দহীন পতত্রীর!


পোড়াভাগ্য PODA BHAGYO

পোড়াভাগ্য


মাথা খাও, আর দুটি খাও, 


ওকি, মাছের মুড়োটা যে পাতেই ফেলে উঠে গেলে? 

বাজার - দরে ষোল কই শলুইয়ে 

দুটো যদি পালিয়ে যায় তো যাক্। 
ঘর বাঁধুক আড়ালে-আবডলে 
কই মাছের জান মুঠোয় ধরে পৃথিবীতে এসে 
চক্ষু খেয়ে পাতের পানে 
দিনের শেষে কাঁটা-খান খাই, 
আঁশটুকুও ফেলি নাকো। 
আহা যদি নলরাজার মাছের মত জ্যান্ত হয়ে 
জলে ফিরে যায়? 
তাই পোড়াভাগ্যে ভাজা মাছটুকু 
ডীপ-ফ্রিজে জোর করে গুঁজি। 
আকালের দিনে যাতে পাতে পড়ে দু-টুকরো। 
তোমার পাতের পাশে তাই 
ঘরের বউ ঘোমটা টেনে বসি, 
' মাথা খাও, আর দুটি খাও'...।





চুল্লি CHULLI

চুল্লি


যখন বেঁচে ছিলাম 

তখনকার একটা কথা মনে পড়ে গেল 
শ্বশুরমশাই,সেলস কোম্পানির মস্ত অফিসার 
কোনও একদিন বলেছিলেন, 
"wait for your turn!' 
কথাটা মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল। 
তারপর বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছি 
কবে আমার পালা আসবে, তার অপেক্ষায়। 

আজ ইলেকট্রিক চুল্লির সামনে 
মৃতদেহের সারিতে আমি দশ নম্বর। 

প্রথম নম্বর পুড়ছে --- 

গ্রীষ্মের দুপুরে শবযাত্রীরা গলদঘর্ম, নাজেহাল---- 
হয়ত মনে মনে শোক ভুলে গেছে, 
ভাবছে,'শালি আর মরবার দিন পেলো না?' 

একটি একটি করে মৃত মানুষেরা 
চলে যাচ্ছে আগুনের গহ্বরে 

সারা জীবন ধরে কত কি অপেক্ষায় কাটালাম, 
সবসময়ই মনকে ভুলিয়েছি এই বলে। 
'"wait for your turn!' 
তাতে  অপেক্ষার মজা গেছে বেড়ে। 

আজ যদি ভাবতে পারতাম 
বেঁচে থাকা দিনগুলোর মতো, 
'"wait for your turn!'



জ্যান্ত ভূত JYANTO BHUT

জ্যান্ত ভূত


আমি যে কখনো জ্যান্ত ভূত হবো
সেকথা কি ছাই বিধাতাও জানতেন?
একদিন পাশের এঁদো পুকুরটায় ডুব দিয়ে উঠে
ভিজে কাপড়ে যেই দরজায় দাঁড়িয়েছি ----
শাশুড়ি ননদী আঁতকে উঠে বললেন
ওমা এ পেত্নীটা কেরে! বলেই
ঠাস করে সদরদরজা বন্ধ করে দিলেন
ঘরের ভেতর থেকে তাঁদের হুলুস্থুল কান্না
'পেত্নীটা আমাদের রূপসী বউটাকে খেয়ে ফেলল গো!'

গেলাম বাপের বাড়ি ----
ন্যাওটা বোনটা আমায় দেখে হাঁউমাঁউ করে পালাল।
পাড়ার যত কুকুরগুলো দিনদুপুরে তাড়া করে এল।
   কোথায় যাই?
ঘরের আয়নাটায় হঠাৎ চোখ পড়ে গেল
    একি!
সামনে যে দাঁড়িয়ে সে তো আস্ত একটা শ্যাওড়াগাছের পেত্নী!
বোনকে দরজা খোলার জন্য মিনতি করতেই
'বোঁনটিঁ দঁরজাটাঁ এঁকটুঁ খুঁলেঁ দিঁবিঁ '?
অমনি কুকুরগুলো আবার কেঁউমেঁউ করে উঠল
এবার কিন্তু রাগে নয়, ভয়ে।

আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই লোকে ভয়ে পালাচ্ছে
জ্যান্ত ভূত দেখে --- তাও আবার দিনদুপুরে
কাছে আসতে সাহস নেই কারও।

আমি ঠাঠা রোদে একা একা দাঁড়িয়ে শেষপর্যন্ত
নিজেকেই নিজে ভয় করতে লাগলাম....

আদর ADOR

আদর

ভালোবাসলে মন মেঘ হয়ে যায়,
তখন দুচোখ দিয়ে
অঝোর ঝরে আদর-----

তোমার চুলের কালোয় হাজার রাতের তারা
ভালো্বাসার আঁধার নিয়ে আসে

রাত হয়ে যায় দুচোখ বোজার আগেই,
মনের মেঘে অঝোর ঝরে আদর-----


ভোরের আলো আমার জন্য না,
আলোয় তোমার মুখ মিলিয়ে যায়

গভীর রাতে তোমার চুলের তারায়
ভালো্বাসায় অঝোর ঝরে আদর-----


Thursday 10 March 2016

প্রার্থনা PRARTHONA




  1.                       প্রার্থনা


জয় হোক আকাশ-পরীদের,     জয় হোক  সরোবর -হংসের, 
রুপোলী- পাখনার মাছেরা, তোমাদেরও    জয় হোক।
এখানে প্রচুর মেঘ জলভারে নুয়ে আছে
রেডিওতে শুনি অকাট্য পূর্বাভাস------------
বহুদিন খরা-বন্যা নেই......
ঘাসের সবুজে বিভোর প্রজাপতি, 
গোলাপের ডালে দুলন্ত গুটিপোকা,
এসব সত্যি হলে
      প্রনাম তোমাকে।
আবার যেন এসো ফিরে 
এই কাঙালের ভূমিকে
      ধূসর থেকে সবুজ করে দিতে...... 

আধু-NICK-নামা ADHU-NICK-NAMA





আধু-NICK-নামা
লেখাপড়া করো বাছা, বইয়ে দিছ মন,
খাতার পাতার ভাঁজে আছে টেলিফোন।
বার-বার মিস্-কল, সাইলেন্ট ডাকে,
প্রেমিকের উড়োচিঠি কাগজের ফাঁকে !
কলমের ডগা হ’তে এস-এম-এস ছোটে---
মোবাইল-ইনবক্স ফুলে-ফেঁপে ওঠে !!
হোয়াস্-আপে তুড়িলাফ্,টিং-টুং রব,
ফেসবুক জুড়ে বাজে কত কলরব !!
পেয়ার শেয়ার-করা, ট্যাগ-ছবি যত,
ফ্রেন্ড-এর লিস্ট বাড়ে সর্পের মত ।
মা-বাবার ভালো ছেলে ভালো মেয়ে দেখে
‘ম্যাট্রি’র-‘মনিয়ালে’ ছবি দিলো রেখে ।
শেষে এই পরিণাম ? হায় মোর বিধি !!
ডাইভোর্স-গিলোটিনে মরে যত নিধি !!