চশমা
এক যে
আছে ভুতু, তাহার একটি জোড়া চশমা
ভুতু
তাকে চাপিয়ে নাকে
আরাম
করে ঘুমিয়ে থাকে –
জাগলে
ভুতু চশমা জোড়া হারায় প্রতি লহমা ।
চশমা-জোড়া
বেজায় পাজি , থাকে না তো নাকে
কখনো সে
খাটের তলায়
বইয়ের
ফাঁকে লুকিয়ে পালায়,
কভু
দেরাজ – আলমারিতে , ক্যাবিনেটের তাকে ।
গিন্নি
ভুতুর কাণ্ড দেখে আছে বেজায় চটে ---
কিন্তু
তাতে ভুতুর কি দোষ ?
করো যতই
হাজারো রোষ ---
চশমাটা
যে বেজায় পাজি বোঝেই না সে মোটে !!
“এই তো
ছিল --- কোথায় গেলো?” --- ভুতুর বাঁধা বুলি ---
চুলকে
মাথা হাঁদার মতো
খাচ্ছে
ভুতু থতমতো
গিন্নি
রেগে উঠছে তত, ছুটছে কথার গুলি ।
সারাটা
দিন হাঁচোড় - পাঁচোড় , মাথার টাকে নখের আঁচড় ---
খুঁজছে
ভুতু, ভীষণ নাছোড়, রান্নাঘরে নো - মিল ----
উলটে
দেরাজ, বইয়ের পাঁজা, “না পেলে আজ দেখবে মজা”
গিন্নি
চেঁচায়, পুড়ছে ভাজা, চশমা তবু অমিল !
রাত্রি
গেল, সকাল হল --- ভুতুর চরণ টলোমলো ---
গিন্নি
কেঁদে মুখ ফোলালো, --- বাইরে কলিং বেল !
দরজা
খোলে গিন্নি ছুটে --- চশমা হাতে দাঁড়িয়ে মুটে
হাস্যমুখে
ব্যালেন্স করে আধশোয়া সাইকেল ।
“কালকে
বাবু দোকান থেকে জিনিসপাতি কিনে
চশমা
ফেলে এলেন বাড়ি , ভরা দুপুর- দিনে –
ঝুড়ির
মধ্যে আগাগোড়া
পড়েই ছিল
চশমা- জোড়া ---
কেমন
করে এলেন বাবু এ-পথটুকু চিনে?”