উড়ে যাবো তোর ডানাতে ভর করে
পাখি তুই কেমন আছিস পিঞ্জরে ?
ভালো নেই, ভালো নেই রে সখী,
কেবলি উড়তে যে মন চায়
ছিলাম নীলাকাশে এক পাখি
আজ গরাদের ওপারে দিন যায়
উড়ে যাবো তোর ডানাতে ভর করে
পাখি তুই কেমন আছিস পিঞ্জরে ?
ভালো নেই, ভালো নেই রে সখী,
কেবলি উড়তে যে মন চায়
ছিলাম নীলাকাশে এক পাখি
আজ গরাদের ওপারে দিন যায়
কাঁটা
‘ তুই যদি হোস্ ভালমানুষের পো,
কাঁটাখান খেয়ে মাছখান আমার জন্যে থো’
একথাটা কি আমি তোমায় বলতে পারি?
বলতে পারি ,
‘গোলাপের কাঁটাটুকু বুকে রেখে ফুলটি আমায় দাও’?
জানিনা।
সারাজীবন কাঁটার ঘায়ে হৃদয়
অশ্রু হয়ে রক্ত ঝরিয়ে গেছে ----
ছায়ার স্বপ্ন বুকে টেনে রৌদ্রের তাপ শুকিয়ে দিয়েছে ঘাম, -----
আপাতত এই জন্মের দিব্বি খেয়ে
জীবনজোড়া যতেক কাঁটা একাই বুকে নিলাম।
গলাবন্ধের দাগ
খিদে
বিদায় (BIDAY)
একবারো না ! একবারো না!
তোমার সাথে করবো না আর দেখা !
আজ সিঁড়িটার শেষ ধাপে পা
আজকে আমি যাচ্ছি চলে একা ....
একবারো না ! একবারো না!
হাতছানিতে দেবো না আর সাড়া !
আজ সিঁড়িটার শেষ ধাপে পা
বিষকৌটো (VISHKOUTO)
রঙ- চঙে এক জাফরি - কাটা কৌটো ছিলো
সেদিন আকাশ শান্তিজলে ধৌত ছিলো .,,
জন্ম ছিলো শুভলগ্নে, জীবন ছিলো নির্ভেজাল,
আঁটোসাঁটো সেই পরিবার যৌথ ছিলো ।
সবার মনে অসীম সুখের সৌধ ছিলো।
এক সকালে জানতে পেলাম, কৌটোটা সেই ---
দেরাজখানা শূন্য়, খালি , কৌটো তো নেই!
জানতে পেলাম ,সে কৌটোতে গরল ছিলো ।
তাও তো তখন জীবন - রেখা সরল ছিলো
তাই প্রয়োজন ছিলো না তার সেসব দিনে,
স্বপ্ন দেখার দিন ছিলো সেই, কষ্ট বিনে ।
ভাবিনি তো আজ তাহারে স্মরণ করে
অঝোর ধারে কাঁদতে হবে পথের 'পরে
একলা বসে আজকে জীবন -নদীর তীরে
হারিয়ে- যাওয়া বিষকৌটো চাইবো ফিরে ।
অপেক্ষা (OPEKKHA)
আজ আমার গল্প বলার শেষ দিন ।
জানলা খুলে রেখেছিলাম
সে কাহিনীর সুগন্ধ আসবে বলে ...
আজ তার পাল্লাদুটিও বন্ধ হয়ে যাবে ।
আর মাত্র কয়েক লহমা বাকি
তুমি আসবে না ?
সেই কাহিনীকে জাদু-হাতে ছুঁয়ে দেবার জন্য
শেষবারটির মতো?
সেই অপেক্ষায় কতো জন্ম কেটে গেলো
তোমার পায়ের চিহ্ন আজো পড়লো না
এই ভরদুপুরের তপ্ত বালুর ওপর ----
তাই গল্প বলার শেষ দিনেও
অপেক্ষার নেই শেষ...