Subscribe in a reader GAN KOBITA NATOK: May 2016

Sunday, 29 May 2016

এক আঁজলা জীবন EK ANJLA JIBON

তোমার হাত থেকে 
এক আঁজলা জীবন উপহার পেতে চাই 
তা সে উপলক্ষ্য যাই হোক। 
হয়তো আলসেতে বসে একজোড়া পায়রা
বা টিলার উপর এক একলা শালিক
জীবনের প্রথম মানে খুঁজে পেলো
মিলনে বা বিচ্ছেদে ----
হয়তো মিলনেও না , বিচ্ছেদেও না,
নদী বয়ে চলে
জীবনে -জীবন মেলাবার আশায় ---
হয়তো সেই জীবন উপহার  পেতে চাই
তোমার কৃপণ হাত থেকে।

জানি তুমি অলক্ষ্যে হাসো ----
সেইটুকু্ই পরম পাওয়া  

যে জীবন চেয়েছি বেদনাকে
চরম ভুলতে চেয়ে
নদী, কপোত, একলা শালিকের মতো
প্রেমে, অপ্রেমে ----


সে জীবন আমার কাছে 
যুগল বিষামৃত 
সে জীবন মরণকে বুকে ধরে 
প্রতিক্ষণে বয়ে চলেছে
জীবনশেষের মোহানায়
মিশবে বলে  -----

Thursday, 26 May 2016

সুখ-শান্তি SHUKH-SHANTI

শান্তি চেয়ে পেলাম সুখ,
ভাঙা আয়নায় আধেক মুখ

তোমায় চেয়ে শান্তি কই ?
আমি যে তোমার শত্রু হই !

জল থই -থই বর্ষা-দিন
তোমায় ছাড়া অর্থহীন!

ইলিশ-ভাতে ছুটির পাত
জ্বরের কপাল, নরম হাত।

সুখের শয্যা হোক মলিন,
  তোমায় ছাড়া অর্থহীন!

বাজার-দোকান, ব্যস্ত হাত,
বর্ষা- বিকেল, আলতো ছাঁট,

শিল কুড়িয়ে গামছা-গিঁট,
আম পাড়তে আধলা ইঁট----

স্বপ্ন দেখার রাত রঙ্গিন
  তোমায় ছাড়া অর্থহীন!

মন- খারাপের ভর-দুপুর,
ক্লান্ত পায়ের জল-নুপুর

ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন -রাগ
ডালিম-ফুলের প্রেম-পরাগ।

ওষ্ঠে -অধ্র, মধুর মিল,
ভালোবাসায় সে ঝিলমিল ।

বুকের মধ্যে ঢেঁকির পাড়
সয়না তিলেক চোখের আড়

আজকে আমার জন্মদিন
  তোমায় ছাড়া অর্থহীন!

Friday, 20 May 2016

প্রতিবেশী PROTIBESHI

হয়ত আবার এইখানেতেই ডাক পড়বে তোমার
হয়ত পাশের বাড়িতে  নিজেরই  প্রতিবেশী হিসাবে। 
পাশের বাড়ির জানলা দিয়ে 
পড়োশিনির  কাণ্ড- কারখানা দেখে 
নিজেই হাসবে নিজের মনে। 

তার  উল্টো শাড়ি - পরা
ঘামে লেপটে - যাওয়া টিপ ----
ভাতের হাঁড়ির সুবাস
তার ঝগড়া, তার পিরীত
তার কলহ -শেষে 
বাপের-বাড়ি যাওয়া ----

তোমার যে কী হাসি পাবে
নিজেকে পাশের বাড়ির  
ভাঙ্গা আয়নায় দেখে------

এতকাল তো ওরাই হেসেছে
এবার হাসবে তুমি! 
যত ইচ্ছে, কেউ দেবে না বাধা  !!

চলে যাবার আগে
জানলাটা বন্ধ করে দিতে গিয়েও 
হয়ত আরেকবার ইচ্ছে হবে 
আজকের এই তুমি হয়ে 
ফিরে আসতে

হাসবে বলে নয়-----
 অঝোর ধারায় কাঁদবে বলে

অহর্নিশ ------

Wednesday, 18 May 2016

তোমার জন্য TOMAR JONNYO

আমি যদি তোমার জন্য পাগল হই 
তুমি কি হাসবে?
নাকি
লাল রুমাল নেড়ে চলে যাবে আমার সামনে দিয়ে? 

যদি একরাশ রজনীগন্ধার বন থেকে 
ভালোবাসা কুড়িয়ে এনে 
তোমার দরজায় এসে দাঁড়াই
তুমি কি ফিরিয়ে দেবে?


আসলে

এসব আমার জীবনে তেমন মানেই রাখেনা
এসব আমার জীবনের লক্ষ্যও না 
যেমন চেয়েছিলাম তোমার ঠোঁটের
ভুবনভোলানো সেই  হাসিটুকু

আজ ওইটুকু সম্বল করে ফিরে চলেছি
আমার ভাঙ্গা জীবনের অন্ধকুপে

বাকিটা  জীবন ওই ফুলের গন্ধ ----
ওই হাসি ----
চোখের তারায় তারায় ভরে
কাটিয়ে দিয়ে চলে যাবো
চির-নিরুদ্দেশের পথে-------  

তোমাদের জন্য TOMADER JONNYO


তোমাদের জন্য 

চেয়ে দেখো গোধূলির শেষ রঙ আকাশে 
ওই আলোতে  উদ্ভাসিত প্রেম 
তোমাদের জীবনে আনুক সংরাগ -----
বিচ্ছেদের প্রবল বেদনা যাক দূরে ----
আবার জ্যোৎস্নাধারা তোমাদের চোখে  এসে 
ধীরে  বাজাক জীবনের সঙ্গীত ------

মধুবন কুসুমিত হোক---------
অকারনে বৃষ্টি ডেকে  আনুক  শ্যামলী মেঘ-----
ফলভারে আনত হোক কিশোরী জামরুল গাছ ---

জীবনে-জীবন গড়ে  নদী  হোক  সুস্নাত----

আমি শুধু দূর থেকে দেখে যাই 
প্রকৃতির এই ভরা খেলাঘর ------

Tuesday, 17 May 2016

বৃত্ত BRITTO


 বৃত্ত

গোধূলির শেষ আলোটুকু মেঘে,
 রং-ঝিকমিক
হয়ত তোমার শেষ কথাটুকু
 ছিল ঠিক্ - ঠিক্-----

ছন্দে কোথাও ভুল হয়েছিল,
তাল কেটেছিল নৃত্যে,
তাই ঘুরে মরি, বেয়ে ভাঙা তরী
বিফল প্রেমের বৃত্তে ।

Monday, 16 May 2016

শব্দ SHOBDO


শব্দ

গভীর রাতের  শব্দ শুনেছ কখনো?
ঘুমের ভিতরে  ? স্বপ্নে?
কোনো রাতচরা পাখির ডাক 
মনে করে দিয়েছে কি 
তুমি একা------
চিরদিন তুমি একা-----?

কখনো দেখেছ কি 
নদী  কেমন একা একা বয় ?
সে জানে তীরে যারা ভিড় করে 
তারা তার কেউ নয়....

কোনো বাজপড়া গাছ 
যেমন করে কথা কয় রাতের সাথে 
তেমনই  আমিও কথা কই 
গভীর রাতের শব্দ কানে লই 

একা জেগে থাকি নিজের মনের কথা 
শুনব বলে ------

সুইচ-অফ SWITCH _ OFF

সুইচ-অফ


সুইচ-অফ
দূর দেশে কোন বন্ধু আছে,
সকাল- বিকেল-সন্ধে-রাতে
ফোন সুইচ-অফ তার।
তাকে ভাবলে মনের মধ্যে
লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙ ভেসে ওঠে।
গাছ ভরে ওঠে ফুলে -------
ঢেউ খেলে নদীজলে
কানে কলসির ছলাৎ-ছল, বুকের মধ্যে ঢেঁকির পাড়!
ঐ বুঝি ফোন বেজে উঠল!
কিন্তু নাঃ...তার ফোন তো সুইচ-অফ!

খিদে KHIDE

খিদে


হোটেল শের- এ নবাব
নেইকো তারি জবাব
বাইরে থেকে স্রেফ্ শুঁকে যাই
মটন-কারি, কাবাব!


চাকরি ঘেঁটে লাট,
পকেট গড়ের মাঠ---
রাত্রি হলে শেষ, শুতে যাই
ছারপোকাদের খাট।


নেইকো মাথায় ছাতা,
লিখে বেড়াই যা-তা
খিদে পেলেই, ব্যস্ খেতে পাই
খিচুড়ি এক হাতা।


প্যাঁকাটি হাড়-গোড়,
মুখেই কথার তোড়,
দু-হাত দিয়ে তাও পেতে চাই
লাখ-টাকার এক ভোর !!!! 

Sunday, 15 May 2016

ঘর GHAWR

আমার জীবন তোমার নামে নিকোনো এক ঘর 
তাতে বসার শীতলপাটি 
ডাবের জলে পূর্ণ ঘটি 
ঠাণ্ডা শ্যামল কোমল মাটি 
স্নেহের নীড়ে দুয়ার আঁটি
বাস করে যান চিরদিনের 
পার্বতী -  শঙ্কর ।


তুমি যেদিন আসবে ঘরে, হবে স্বয়ংবর ।
ভরবে আলোয় চারিটি দিক,
সোনায় রূপায় খেলবে ঝিলিক
খুশির জোয়ার ডুবিয়ে দিক
মধুর আবেশ ভরিয়ে নিক
দিনগুলি সব, রূপকথারই
মানিক-জহর ।। 

Friday, 13 May 2016

বৃষ্টি BRISHTI

আজ কেউ এসেছিল  -==
 গান হয়ে , প্রেম হয়ে ----
আমার চোখে -মুখে ঝরেছিল সে
বলেছিল --'-এই ত আমি!----
আমি যে তোমার  ডাকে
তোমার কাছেই এলাম!'


আর সে যাবে না কোথাও
আমাকে একা ফেলে অন্য কোনো দেশে
মেঘ হয়ে, ঝড় হয়ে-----
 সে ঝরবে। কাঁদাবে -হাসাবে,
 তাই
আমি তাকে বুকের মাঝে ভরে নিলাম।।

Thursday, 12 May 2016

আধো-চেনা ADHO_CHENA

তাকে লোকে অর্ধেকটা চেনে 
আয়নায় সে  ধরা পড়ে অর্ধেক
স্বপ্নে ক্ষণিক এসে সে জাগিয়ে দিয়ে যায় 
আর আধেক হাসি লেগে থাকে 
তার অধরের একটি  কোনায়।..
বাকি অর্ধেক সে থাকে
তোমার-আমার কল্পনায় ।।


তাকে জানতে চেয়ো না পুরোপুরি !
থাক্ সে
খানিক জানায় ,খানিক অজানায়-----
তাকে ধরতে  গেলে হারাবে সবটুকু----- 


যেটুকু সে  মন ভরিয়ে যায় , 
 সেইটুকু নাও খুশি হয়ে। ..
 শুধু সেইটুকু রাখো জল্পনায় 
বারি অর্ধেক রেখো
তোমার-আমার কল্পনায় ।।


Wednesday, 11 May 2016

কান্না KANNA


কান্না KANNA


যতই কেঁদে বেড়াও ,---এ জল থেকে ও জল
দিঘি বাড়বে বই কমবে না  ---
কাগজের নৌকা ভাসাও  জলে
 জল বইবে বই থামবে না।

জল যদি শুকোয়, অন্ধ হবে চোখ -----
কান্না কিন্তু হবে না শেষ -----

এ কি তেমন কান্না?যাতে
রাধার বকুলমালিকা  যায় ভিজে-----
বিষ্ণুপ্রিয়া ধোঁয়ার অঞ্চলে চোখ মোছেন ,
সীতাহারের একটি করে মোতি
কমে যায়??

Tuesday, 10 May 2016

মাঝি MAJHI




একসমুদ্র ভয়ের আঁচল বুকে 
দুকূল জুড়ে নদী উথাল-পাথাল ---
নৌকো বাওয়া হলো না আর জলে ,
পাড়  ভাঙছে ,----মাঝি সামাল-সামাল !!!

নদীর তীরে তোমার-আমার ঘর ,
তুলসী -তলায় প্রদীপ সন্ধ্যাকালে -----
মৌন আলোয় জ্বলছে মুখর চোখ ,

ভালোবাসার আগুন অন্তরালে। 

এমন দিনে নাও বাইতেও রাজি 
উজান বেয়ে নদী ফল্গুধারা -----
মাঝি তোমার দোল-লাগানো তরী 
এমন কেন বাইছো পাগলপারা?

Thursday, 5 May 2016

বেঘর-বিকেল BEGHAR-BIKEL

বিদায় BIDAY


খাতা KHATA


দূর DUR

তুমি অনেক দূরের জানলা থেকে
আমাকে দাও বিদায়ের হাতছানি -----
আলোটুকুও জ্বলল না আর রাতে -----

দিনের আলো,  
রোদের হাসি 
অনেক দূরে রেখে--------

চলে গেলাম দুরের থেকে দূরে  
তোমায় ছেড়ে নিরুদ্দেশের পথে  ------

Tuesday, 3 May 2016

ফ্রেম FRAME






এ তো সেই প্রেম নয়, ফ্রেমে বাঁধা যাবে, 
            দেওয়ালে টাঙিয়ে যাবে রাখা ... 
এ তো শুধু হাসি আর ভালোবাসাবাসি 
            শুধু পথটুকু আকাবাঁকা।

Monday, 2 May 2016

মানিপ্লান্ট MONEYPLANT


মানিপ্লান্ট MONEYPLANT


কোনো উষ্ণতার সঙ্কেত নেই যেখানে
নেই কোনো  শীতলতার  অবকাশ
হাসি নেই,----কান্নাও ----
আছে প্রবল বেদনা ক্ষুধার ----- তৃষ্ণার----
সবুজ কি নেই? তাও আছে
জীবন বেষ্টন করে, প্রাণপণে ----
শরীরে আলো মেখে নেবার ----
প্রয়াসী এক অবুঝ উদ্ভিদ...
অভাবির ঘরে কেন এ প্রাণের জিদ?

পাতায়-পাতায় প্রতিশ্রুতি ,
আরও প্রাণ, আরও গতি
হায়, যদি জীবন হত এত গতিময়
প্রাণবায়ু বাঁচত বেষ্টন করে তার আশ্রয় ।

দুমুঠো চালের জন্য এত হাহাকার,
ভাঁড়ার কেবলই বাড়ন্ত যার
কেবল জল ও আলোর রসদে
তার ঘর ভরে লতিয়ে চলেছে
পাতায়-পাতা, সবুজে - সবুজ
বড়ই  অবুঝ এ উদ্ভিদ ----
অভাবির ঘরে কেন এ প্রাণের জিদ?

Sunday, 1 May 2016

আয়না AYNA


তুমি আমার দুচোখে 
আয়নায় নিজেকে অনবদ্য  দেখো 
আমি দেখি সারি সারি গাড়ির মিছিল 
তোমার রেশমি শাড়ির সিগনালে  আটকে 
অপেক্ষায়  আছে,.....
লাল, নীল বাতির ঝলক -----

একটি গরিব মানুষ্ 
নিজের হাতে নৌকো বানিয়ে 
এগিয়ে দিচ্ছে 
তোমাকে আরো গরবিনী করে 
তোলার  জন্য ---------
তোমার নখ- রঞ্জনী আরো সিগনাল হয়ে 
তীব্র হচ্ছে অধীর বাসের হর্ন  ----
আমি আরো অনবদ্য দেখি 
দেমাকি তোমায়। ..
ইউমী আমার দুচোখে 
ঝাপসা আয়না ভেঙ্গে চুরচুর -----