Subscribe in a reader GAN KOBITA NATOK: July 2016

Sunday, 31 July 2016

সূর SUR

মনের গভীরে খুঁজি 
সাগর, পাহাড় , মরুবেলার
একাকীত্বের সুর...

অন্তরে আমি বুঝি
গান শেষ করে শেষবেলার
চলে গেছ বহুদূর ।


Saturday, 30 July 2016

উদাসীনা UDASHEENA

সুখী হও , জয়ী হও, দীর্ঘজীবী হও, 
অনেক শুনেছি এ আশীর্বাণী,
লক্ষ্মীস্বরূপা , রাজরাণী হবার
বরও পেয়েছি কত 
কোনো কাজে আসেনি
এসব শুভচিন্তা -----
কোনো ফল মেলেনি বাস্তবে ----
সুখ, জয়, সোনার সংসার 
এসব অনেক দূরের স্বর্গ-পথে  
কখন মিলিয়ে গেছে

এ পৃথিবী আজ জ্বলছে 
হিংসা, আগুন, বিস্ফোরণে----
আজও কেউ কেন একথা বলেনা
 ঘরের লক্ষ্মীকে 'উদাসীনা' হতে? 
কেন শুনিনা সেই অমৃতনির্ঘোষ
'তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জিথাঃ' ?

উদাসীনা হলে যদি 
আগুন না জ্বলে , না হয় পাপ,
তবে কেন এ চেতন -মন 
সদা জাগরূক ,উদ্যত, উদ্ধত ?

ঘুম, তুমি এবার নেমে এস,
অনেক হয়েছে রাত,-----
শ্রবণকে করো বধির , নয়নকে অন্ধ ----
উদাসীনা করো আমায়
যাতে স্বর্গ-পথে উড্ডীন রথে
যেতে পারি সহজে 
মৃত্যুর পরম আশ্রয়ে -----

Friday, 29 July 2016

চেনামুখ CHENAMUKH

একাকীত্ব আমার সম্পদ , ----- তোমার নয় 
আমি ভিড়ের মধ্যে চেনামুখ খুঁজে বেড়াই 
তুমি অন্তরালে হাসো আমায় দেখে---   

সাগর, পাহাড়, মরুবেলা,
আমার সঙ্গী হতে চায়,
আমি সবিনয়ে ফিরিয়ে দিই 
আমি চাই কি চাইনা একা হতে
তোমার তাতে কি আসে যায়? 

আমি স্বপ্নে একা জাগি 
তুমি অঘোর ঘুমে-----
কবে জাগবে সেই প্রতীক্ষায়
আমার অলিন্দে মৃদু দোলনচাঁপা------ 
বায়ুভরে সেই সংগীতে দোলা দেয় -----

আরো একবার সেই চেনামুখ 
আমার আয়নার ছায়ায় -----
তুমিও কি সেই পথে পাড়ি দাও 
আমার একাকীত্বের
নীরব সাথী হবে বলে? 

Thursday, 28 July 2016

জলস্রোতে JAWLOSROTE


জলস্রোতে JAWLOSROTE

প্রেম ভেসে যায় জলস্রোতে
সেদিন এমন ছিলো
রেখার কাঁপন অবুঝ মুখে
হারিয়ে যাবার মধুর সুখে
রঙ বুলিয়ে দিলো ...

শেষ হল পথ, যেতে যেতে
অনিশ্চয়ের পানে 
ভুল হল কি কখন কবে?
আজ সে কথাই বলি তবে
বিদায় নেবার গানে ।

Wednesday, 27 July 2016

দরজা DORJAA

পায়ের শব্দ মিলিয়ে যায় দরজাটার ওপারে
দরজা খোলে না
দরজার এপারে থাকে জীবনভর প্রতীক্ষা
কারো আসার ----

কেউ আসে না ।

Sunday, 24 July 2016

আক্ষেপ AAKHHEP

ননদিনী ,আমি শ্বশুরঘরে এসে রান্না শিখলাম না।
আমার মন থাকেনা ব্যঞ্জন-পাকে, 
কড়াইতে তেল দিয়ে পটল ভাজতে গিয়ে
কখন যে সুপুরী ভেজে ফেলি,খেয়ালই থাকেনা

আবার তপ্ত কড়ায় তেলে-জলে মিশে গেলে
আমি শুধু শুনি যমুনার কুলুকুলু স্বর
কিন্তু ঘর থেকে বেরোবার যে উপায়টুকুও নেই 
ঘর হইতে আঙিনা যে বিদেশ!

পায়ের নূপুর হল সোনার শিকল,কঙ্কণ হাতের বেড়ি
গলার সপ্তনরী হারের ফাঁসে জীবন হল বৈরী।
রইল শুধু যমুনার জল,ডুবিয়া জুড়াব গা------
ননদিনী,আমি শ্বশুরঘরে এসে ঘরই করলাম না!

Saturday, 23 July 2016

ঝাঁপ JHNAAP

আগুন থেকে জলে
মরণ থেকে বাঁচবো বলে
দিয়েছিলাম ঝাঁপ 

তখনো তো জানতাম না 
মনের মধ্যে উথাল-পাথাল
ভালোবাসাই পাপ !

Thursday, 21 July 2016

ক্যানভাস CANVAS

তোমায় চেয়ে ভেবেছিলাম
না - পাওয়াটুকুই থাক্ ----
আরো ভালো সারাজীবন
তোমায় ভেবে ভেবে
মনের সাদা ক্যানভাসেতে
যে মুখখানি ভাসে----
সে মুখখানি ভুলতে চেয়ে
জনম কেটে যাক্। 

Saturday, 16 July 2016

আকাশ AKAASH

মুখ লুকোবার জন্য 
আস্ত একটা আকাশই তো আছে 
আছে তাতে মেঘের বালিশ
 চোখের জলটুকু 
শুষে নেওয়ার জন্য। 

কখনও কোনও পাখির ডানায় ভেসে 
উড়ে যেও স্বপ্ন দেখার রাতে
যেখানে শেষ নেই -----নেই শুরু
হাসি-কান্না দুঃখ -সুখ 
কিছু নেই ---

আছে  আকাশ ----
দিগন্ত - জোড়া নীল আকাশ ----
মুখ লুকোবে বলে----
হারিয়ে যাবে বলে......। 

Thursday, 14 July 2016

ভুল BHOOL

ভুল BHOOL

এক অঞ্জলি ভুল হাতে নিয়ে
সে নাকি একরাত 'প্রিয়া' বলে ডেকেছিল
আকুল বালিশ জ্যোৎস্নায় ভিজেছিল বুক
হয়ত কোনও তারা ফোটার অপেক্ষায়
উপলে কেটেছিল তার মার্গশীর্ষ রাত 


জীয়নকাঠির খেলা তর্জনী ভুলে গেছে
গেছে মধ্যমা,কনীনিকা, অঙ্গুষ্ঠা,
পাথরে ঠিকরে যে আলো পথ দেখেছিল
কোনো এক অচেনা  মেঘ,
সাপের মাথার মণি হাতে নিয়ে
পথ খুঁজে ফিরেছিল সেই রাতে


সে রাতে ছিলনা চাঁদের আলো
তাই ভুল হয়ে ডেকেছিল পাখি
   আর শুধু
রাত প্রদক্ষিণ করে আর কোনদিন 
বাসায় ফেরা হলোনা কো তার।

Tuesday, 12 July 2016

চলে যাওয়া CHOLE JAWA


 চলে যাওয়া

 চলে যাওয়ার পথটা কিন্তু সামনেই আছে
কিন্তু যাওয়ার উপায় নেই।
আমি ঘরের জানালা থেকে দেখি তাকে,
যে পাখি বাসা ফেলে রোজ আনন্দে উড়ে যায়
সে যদি আমায় দিয়ে যেত তার ডানাদুটি,
তাহলে পথের বাধা মানতাম না, 
শুনতাম না কারো চোখের জল,
শুধু উড়ে যেতাম ওড়ার আনন্দে।

আমি বেশ বুঝতে পারি আকাশের হাতছানি
তারাদের হাসি, হাওয়ার আঁচল-দোলা,
এই বন্দী-জীবন থেকে তারা আমায় মুক্তির আভাস দেয়

কিন্তু চলে যাওয়ার উপায়টা আজ পর্যন্ত 
কেউ আমাকে বলে দেয়নি।

Sunday, 10 July 2016

স্বপ্নের শব্দ SWAPNER SHOBDO

দুবাহু বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেছে ঘুম
দুইচোখে এসে স্বপনেরা নিঃঝুম।
বলে 'এসো,এসো, হেথা অানন্দমেলা
না-পাওয়ার সাথে খেলো লুকোচুরি খেলা-----
শ্বেতপাথরের সাজানো অট্টালিকা,
চির-প্রদীপের চির-প্রেরণার শিখা।
যে মালা কখনো জীবনে পরোনি গলে 
সেই মণিহার ঐ যে বক্ষে দোলে।
আজিকে এ তুমি একটি রাতের রাজা
সার্থক হোক অনুপম বেশে সাজা।
আতর ছড়াও সুন্দরী সুস্মিতা,
লজ্জাবস্ত্রে আধোখানি আবৃতা-------
সোমরস ঢেলে পাত্রে এগিয়ে দাও,
আজ প্রাণভরে স্বপ্নানন্দ নাও
কে জানে কখন ঘুম ভেঙে যায় পাছে
কঠিন, কঠোর বাস্তব জেগে আছে।
কাচের স্বপ্ন চুরমার হলে শেষে
কঠিন ভূমিতে আছড়ে  পড়বে এসে।'

Saturday, 9 July 2016

স্নেহ SNEHO



 স্নেহ SNEHO

তোরা যে নদীতে আগে জল নিতে যেতিস,
তাতে আর জল বয় না।
পূবের বৈশালী মন্দিরে তাই জলের জন্য প্রার্থনা চলছে।


মুদ্গলী, শনিচরী, মেঘলতা, তোরা

ঘুরপথে আর মিছে জলের চেষ্টায় পা বাড়াস না।
পথে কত ফাঁদ পাতা আছে কে বলতে পারে?


কে জানে কবে আকাশে বাদলা জমবে

ধারার সুখ ভরিয়ে দেবে তোদের চুল, বুক,শাড়ী,
তোদের পায়ের ছন্দে নেচে উঠবে মাটি-মা ।


এখন তোরা তবে বরং ঘরেতেই মন দে

সংসারের মাটি-আঙন ভরিয়ে দে সুখে
শিশুদের দেহে বুলিয়ে দে তোদের বুকের যত স্নেহ।

ভাবনাচিন্তা BHABNACHINTA

রাজা ভোরে উঠে একপ্লেট ব্যাং-ভাজা খেয়ে ভাবতে বসলেন, 'ওরা রুটি খেতে পায়না তো কেক খায়না কেন'
এদিকে ছাইগাদার পাড়ে বসে মাসি রুপোর মাছ কাটে ঘ্যাঁচ-ঘ্যাঁচ ---'কেটোনা কেটোনা মাসি রাজা মোদের
ভাই' ....

ভাবতে ভাবতে উনুনের ভাত ধরে যায়

 শীত- বসন্ত রাজা হয়ে ভাই ভুলে যায় কে আনবে রাজকন্যার গজমোতি হাতির তো মাথা কাটা গেছে গিলোটিনে সে খুশির হাওয়ায় আবির মেখে নাচ ;'সাজ ত ভাল কন্যা যদি সোনার নূপুর পাই' কে যাবে কে যাবে নূপুর আনতে ঘরে আছে মোটা বেড়াল কোমর বেঁধেছে সে ত আবার ইঁদুর দেখলে সব ভুলে যায় তাকেই ত বেঁধে  আনা দরকার এতকিছু ভাবনাচিন্তা করে রাজা এঁটো হাতে বসে থাকেন ত বসেই থাকেন-------

Thursday, 7 July 2016

রাধা RADHA

 চিত্রার্পিতা ,  কে মেঘাবরণী  
বুঝি  শ্যামল-স্মরণে এ বেশ ?
এ মহা-প্রলয়ে  পার হবে তুমি 
ঝঞ্ঝার বাধা ? যাবে দয়িতের দেশ ?

সাহসিনী, তুমি একেলা এ কূলে 
পার হবে নিশি-যামে -----
প্রেম হোক তব পারের তরণী 
যেন ঝড়ে নাহি থামে। 

তোমার শ্যামল দুস্তর পারে,
   বাজে মোহনিয়া--বাঁশি
চোখে তার নীল যমুনার বারি
মুখে প্রেমময় হাসি ।

ওপারে তোমার দয়িতের বাঁশি 
তব নাম জপে প্রেমে, 
তুমি হয়ে ওঠো  শতেক রূপসী 
সেই প্রেম-জলে নেমে।

যাও যাও প্রেম , প্রেমিক-সকাশে
ভেঙ্গে প্রস্তর - বাধা ----
মরমী তোমার দূরে  নেই আর
ওগো শ্যাম- ময়ী রাধা!

নাম NAAM


নাম 

নীল বসনে  চিত্রার্পিতা
তুমি কি কৃষ্ণ প্রিয়া
তবে কেন কান্দ এমন
জগত আঁধার দিয়া?

কৃষ্ণময়ী, অঙ্গে তোমার
মেঘবরণ শাড়ী্‌,
অভিসারের অজানা পথ
নির্ভয়ে দাও পাড়ি।

তোমার মধুর ভালোবাসা
জাগাও আমার প্রাণে,
জীবন-সাগর পার হয়ে যাই
কৃষ্ণ -নামের গানে।




বাড়ি BAARI

বাড়ি BAARI

একটি স্বপ্নের বাড়ি ছিল,
আমি রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে
চেয়ে চেয়ে শুধু দেখতাম।
জানালার ওপারে কেউ বসে আছে
কারো অপেক্ষায়।
সে কি আমি? নাকি অন্য কেউ?
হয়তো আমারই মতন অন্য কেউ।
আহা, আমার জন্যে কেউ যদি
এমন প্রতীক্ষায় থাকত!
ভাবতে ভাবতে একদিন স্বপ্নের বাড়ি
স্বপ্ন ভেঙ্গে মিলিয়ে গেল।
প্রতীক্ষাও মিশে গেলো ভাঙ্গা বাড়ির ধুলোয়।

পাখি PAAKHI

দুয়োরাণী যখন কঠিন জ্বরে শয্যাশায়ী
তখন মান রাখতে রাজা বৈদ্য ডাকলেন, 
ওষুধ আনালেন, পথ্যি যোগালেন, 
কিন্তু রাণী দিনে দিনে শয্যার সঙ্গে মিশে যেতে লাগলেন।

বদ্যি এসে বললেন,' এবার বোধহয় সময় এসে গেছে,
দরজা জানালা গুলো খুলে দাও '

সুয়োরানী নাক সিঁটকে বললেন,
'এঃঁ ! এত সহজে যেন মরবে!'

      দিন যায়...

একদিন একটি অচেনা রঙিন পাখি
জানালায় এসে বসে চমৎকার শিস দিতে লাগল।

সে ডাক সকালে ঘুম ভাঙাবার, রাত্রে ঘুম পাড়াবার।

রানীর অচেতন মনে কে যেন বলতে থাকল,
'তোমায় রাজা ছেড়েছেন, প্রাসাদ ছেড়েছে,
আরাম ছেড়েছে, সম্পদ ছেড়েছে,
কিন্তু মনে রেখো, একজন সবসময়
তোমার জন্য আছে।'

দিনে দিনে রাণী চোখ মেলে চাইলেন।

একদিন রাণী সুস্থ হয়ে শয্যা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন।
উঠে তিনি পাখিটাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়ান
কিন্তু কোথাও খুঁজে পান না তাকে আর।

শুধু পাখির গাওয়া গানগুলি রাণীর বাকি জীবনের
পরম সম্পদ হয়ে রইল।

গজমোতি GAWJOMOTI


গজমোতি

চাঁদ থেকে নামতে নামতে ভেঙে গেলাম
পাহাড় থেকে নামতে নামতে টুকরো হলাম
সাগর ঢেউয়ে আছাড় খেয়ে খণ্ড হয়ে 
তোমার পায়ে লুটিয়ে পড়লাম।

তুমি হেসে আমার ভাঙা দেহে হাত বুলিয়ে
মুক্তো গেঁথে গলায় পরে নিলে
আমি হলাম তোমার গলায় 
   গজমোতির মালা।
তোমার গলার শোভা দেখে সবাই বলে
'কোথায় পেলে এমন চমৎকার?'
তুমি শুধু ঈষৎ হাসো, আর
তোমার গলায় ঝলমলিয়ে ওঠে
গজমোতির হার।

Wednesday, 6 July 2016

বেখবর BEKHOBOR

বেখবর 

সকাল থেকে রাত্রি, দুপুর থেকে সাঁঝ
ফোন মেলেনা, মেলেনা ইমেল,
বাজেনা কলিং - বেল।

ডাকবাক্সের চাবিটা তো 
হারিয়ে গেছে কবেই 
ওতে আর আসে না কোনো চিঠি।

তবুও রোজ জানলা খুলে মিথ্যে দুরাশাতে
খুঁজি কোনো পাখির ঠোঁটে সবুজ গাছের পাতা,
অথবা ঠিকানা-লেখা কোনো পালক

দিন যায়, আসে রাত,
রোদ ওঠে, ওঠে ঝড়,---------
মেলেনা,মেলেনা কোনো খবর।

Tuesday, 5 July 2016

দয়াল DOYAL

দয়াল DOYAL

হাতে তোমার মোহনবাঁশী, তবুও কেন বেসুর বাজাও?
দেখিয়ে মুখ রূপতরাসী কেন তুমি আমায় ডরাও?
এই সাগরের অকূল পাথার, কান্ডারী তো তুমিই ছিলে
হাসির ছলে খেলতে এসে নৌকা কেন ডুবিয়ে দিলে?

ভিজল আমার বসন-ভূষণ, চোখের কাজল গেল ধুয়ে,
সব হারিয়ে জীবনটুকু তোমার পায়েই পড়ল নুয়ে।
তুমি কি তাও হাসছ আজো,আমার এমন দশা দেখে?
যা করবে তাই করো,তবু তোমার পায়েই দিয়ো রেখে।

Monday, 4 July 2016

রঙীন RONGEEN

তোমার কাপড় তো সাদাই ছিল 
     এখন তাতে কত রকম রঙ! 
কোথাও নীল, কোথাও লাল,
      কোথাও সবুজ, কমলা, বেগুনী-----
সাতটি রঙের সমাহারে উজ্জ্বল।
      এত রঙ পেলে কোথায় তুমি?


ও রঙীন, তোমার থেকে একখানি রঙ 
        তাহলে আমায় দাও,
সেই রঙে ছুপিয়ে নিই ওড়না আমার-------[


যাতে তুমি যখন সমস্ত রঙ হরণ করে
       কালোরূপে লুকিয়ে পড়বে অন্তরালে,
তখন যেন ঐ ওড়নার রঙটুকুই

আমার সম্বল হয়ে আমার চোখের সামনে ভাসে।

প্রেমপত্র PREMPOTRO

প্রেমপত্র PREMPOTRO

এক সকালে ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ডে তোমায়
 লিখেছিলাম যে নিবেদিত প্রেমপত্র,  তা আজ ফেরত নিতে চাই।
আরও ফিরে চাই যা কিছু ছেলেমানুষি তোমায় ঘিরে----
সহেলিদের হাসি আমোদের পাত্রী হয়ে 
তোমাকে দিলাম আমার নিরানন্দ জীবন
তুমি ফোটালে তার একটি একটি  দল
আবার হাসলাম আমিও রোদেলা আকাশ নীলে
তখন কে জানত সে প্রেম- আখরগুলি 
মুছে যাবে একলা ধুলোয় মিশে? 
আজ আমি চাঁদেলা-রাতে একা তারা 
চাঁদ কোথা গেলে আমাকে একেলা ফেলে?
সকালের সেই ক্লাসরুম চাবি দিয়ে 
অনন্তদা চলে গেছে দেশে তার নাকি মায়ের অসুখ
তুমিও বিদেশে পেতেছ সুখ-সংসার
এবার তাহলে যে প্রেমপত্র তোমাকে না -লেখা যত
সব মুছে যাক, আমিও ফিরে যাই 
না-চাঁদ, না-তারার পথ ধরে------

Friday, 1 July 2016

অনিশ্চিত AWNISCHIT

সুখ ছিঁড়ে ছিঁড়ে অন্ধকারের আলোয় মালা গাঁথা
কোথায় খুঁজে পাও এতো কথায় কথায় দুঃখের গাছ?
শেকড় মাটির বুকে আঁকে
না দেখা স্বপ্নের রোজনামচা।
ব্ল্যাকবোর্ডের সব লেখা 
একদিন মুছে যাবে তাও জানি
ব্যাকসীটে বসে যে দম্পতি 
অনাগত মুখের স্বপ্ন দেখে
অতলে মিশে যায় সেই ফুল
চোখ সেই রোদচশমায় ঢাকা
কি নাম দেবে সেই জলপরীর
যাকে এখনো নাম ধরে ডাকোইনি?

মোমবাতি MOMBATI


মোমবাতি MOMBATI


প্রতি রাতে যেন মৃদু একটি প্রতিশ্রুতি

কোনোকিছুর প্রত্যাশা না রেখে

অপলকে আলো দিয়ে যাওয়া

অশ্রুর মত সারারাত গলে গলে

ভোরের আলোর আলিঙ্গন পাওয়া।

ঘুম ভেঙ্গে দেখি কোন ঘুমপরী যেন
সারারাত কেঁদে কেঁদে শেষ হয়ে

লুটিয়ে পড়েছে ভোরের আলোয়

কী যে সে দিয়ে গেল

চেতনায় প্রতিভাত হয় না তা।

শুধু মনের গভীরে একটি আলোর কণা

জ্বলতে জ্বলতে কখন যেন একদিন নিভে যায়।